মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

৮শ কোটি টাকা ক্ষতি, খোকা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি সাধন করায় সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযুক্ত অপর তিনজন হলেন- ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-১০) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনসুর আহামেদ, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৮) আমিনুর রহমান চৌধুরী।

এর আগে ডিসিসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে খোকার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক। গত ডিসেম্বরে ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ করা হলে মেয়রের পদ হারান সাদেক হোসেন খোকা।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় নির্মাণাধীন বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের কারপার্কিং সঠিকভাবে চুক্তি সম্পাদন হয়নি। এতে ৫ শতাংশ মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয় সিটি করপোরেশন। এ অভিযোগেই সাদেক হোসেন খোকা ও তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রণব কুমার আরো জানান, ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষের রিট আইনগতভাবে নিষ্পত্তি না করে মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সালেনামামূলে নিষ্পত্তির মামলায় সালেনামামূলে অনুযায়ী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন না করে নির্ধারিত তারিখের ১২ দিন পর চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এতে মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশন ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ মালিকানা পায়।


দুদক কমিশনার শাহবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘যদি ডিসিসি নিজেই এ ভবন নির্মাণ করতো তাহলে তারা অনেক লাভভান হতো। কিন্তু তা না করে আরএম ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবনটি নির্মাণ করেছে। এতে ডিসিসির প্রায় ৮শ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। কারণেই এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’ দুদক তিন বছর ধরে এ তদন্ত করে আসছিল বলে তিনি জানান।


২০১২ সালের ২৯ মার্চ শাহবাগ থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৪১। এটির তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা বিচারাধীন।

ওই মামলার বিরণীতে বলা হয়েছে, সাদেক হোসেন খোকা, বনানীর ঢাকা সিটি করপোরেশনের সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও পার্কিং স্থানের ব্যবস্থাপক এ এইচ এম তারেক পরস্পর যোগসাজশে মোট টাকা ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সের বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার ১১ লাখ ৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন। বেজমেন্টে কার পার্কিংয়ের ভাড়া বাবদ ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমানে এয়ারটেল) কাছ থেকে ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন