বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মেসিকে গলা চেপে মাটিতে ফেলে দিল ওয়েলিংটন ( ভিডিও সহ )




সাবেক প্রেমিককে প্রিয়াঙ্কার আইনি নোটিশ

প্রথম থেকেই নিজের জীবনী নিয়ে ছবি বানানোর বিপক্ষে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।তবুও তার নিজের জীবনের কাহিনী নিয়ে ছবি করছেন তার সাবেক প্রেমিক অসীম মার্চেন্ট।

২০০০ সালে প্রিয়াঙ্কা মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী হবার পরই তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে। কিন্তু সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনি।

প্রিয়াঙ্কা তার উকিল আনন্দ দেশাই এর মাধ্যমে ছবির প্রযোজক প্রাক্তন প্রেমিককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ছবিতে তার ব্যক্তিগত জীবন পরিবারের অনেক গোপন তথ্যই অসীম তুলে ধরেছে যা মোটেও সম্মানজনক নয়। তাই এসব দৃশ্য বাদ দিতে বলেছে প্রিয়াঙ্কা।



কিন্তু অসীম বলেন, ‘তার কথা অনুযায়ী স্ক্রিপ্ট বদলানো হয়েছে। এরপরও যদি প্রিয়াঙ্কার কোন সমস্যা থাকে আমি ছবি বাদ দিয়ে দেব। আমি চাইনা তার আত্মসম্মানে আঘাত করতে অথচ ছবিটা সম্পূর্ণ আমাকে নিয়ে, প্রিয়াঙ্কা এর একটা অংশ মাত্র।
 

প্রথম থেকেই নিজের জীবনী নিয়ে ছবি বানানোর বিপক্ষে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।তবুও তার নিজের জীবনের কাহিনী নিয়ে ছবি করছেন তার সাবেক প্রেমিক অসীম মার্চেন্ট।

২০০০ সালে প্রিয়াঙ্কা মিস ওয়ার্ল্ড বিজয়ী হবার পরই তাদের মধ্যে গভীর সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে। কিন্তু এ সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনি।

প্রিয়াঙ্কা তার উকিল আনন্দ দেশাই এর মাধ্যমে ছবির প্রযোজক ও প্রাক্তন প্রেমিককে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা জানিয়েছেন, ছবিতে তার ব্যক্তিগত জীবন ও পরিবারের অনেক গোপন তথ্যই অসীম তুলে ধরেছে যা মোটেও সম্মানজনক নয়। তাই এসব দৃশ্য বাদ দিতে বলেছে প্রিয়াঙ্কা। - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/295325.html#sthash.OEDTKxR0.dpuf

আমার সঙ্গে অনেকেই অভিনয় করতে চাইতো না: ক্যাটরিনা



বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। বলিউডের বার্বি গার্ল বলা হয় তাকে। বলিউডের সব তাবড় অভিনেতা পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে তারনাম। অথচ তার সঙ্গেই নাকি একসময় অনেক অভিনেতাই কাজ করতে চাইতেন না। এটাও কি বিশ্বাস যোগ্য?







তবে এমন কথা স্বয়ং ক্যাটরিনাই জানিয়েছেন। সম্প্রতিব্যাং ব্যাংছবির একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে তাকে প্রশ্ন করা হয় তার সাফল্যের জন্য বলিউডের কাকে ধন্যবাদ জানাতে চান। উত্তরে ক্যাটরিনা বলেন, ‘অনেকেই আছে এই তালিকায়। বিশেষ করে সেইসব অভিনেতারা যারা শুরুর দিকে আমার ওপর আস্থা রেখে আমার সঙ্গে কাজ করেছেন। কেননা অনেক অভিনেতাই আছেন যারা নয় বছর আগে আমার সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলো না। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়। সব নতুনদের সঙ্গেই এমন হয়। তবে এসব কথা মনে ধরে রাখা উচিৎ নয়

বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। বলিউডের বার্বি গার্ল বলা হয় তাকে। বলিউডের সব তাবড় অভিনেতা ও পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে তার ‍নাম। অথচ তার সঙ্গেই নাকি একসময় অনেক অভিনেতাই কাজ করতে চাইতেন না। এটাও কি বিশ্বাস যোগ্য? - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/327183.html#sthash.wtW6WDSq.dpuf
বলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। বলিউডের বার্বি গার্ল বলা হয় তাকে। বলিউডের সব তাবড় অভিনেতা ও পরিচালকদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকে তার ‍নাম। অথচ তার সঙ্গেই নাকি একসময় অনেক অভিনেতাই কাজ করতে চাইতেন না। এটাও কি বিশ্বাস যোগ্য? - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/327183.html#sthash.wtW6WDSq.dpuf

শাহজালালে ২৭ পিস সোনার বার উদ্ধার




হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেড় কোটি টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। আটক হওয়া ওই যাত্রীর নাম জানা যায়নি
আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পরিচালক উম্মে নাহিদা আক্তার বলেন, আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে ওই যাত্রী দুবাই থেকে .কে-৫৮২ নম্বর ফ্লাইটযোগে ঢাকায় নামেন। গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময়ে তাকে তল্লাশি করে মাইক্রো ওভেনের মটরের মধ্য থেকে ২৭ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন আনুমানিক কেজি ১৪৬ গ্রাম। উদ্ধার করা সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা

মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

সফলভাবে মঙ্গলের কক্ষপথে ভারত

প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য। ভারতের মহাকাশযান মঙ্গলযান আজ বুধবার সকালে সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (আইএসআরও) অভিযান নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে এ ঘোষণা দিয়েছেন।
মোদি বলেন, ‘ভারত সফলভাবে মঙ্গলে পৌঁছেছে। সবাইকে অভিনন্দন। অভিনন্দন পুরো দেশকে। আজ ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।’

মোদি উল্লেখ করেন, প্রায় অসম্ভবকে অর্জন করেছে ভারত। বিশ্বে ৫১টি অভিযানের মধ্যে মাত্র ২১টি সফল হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপ সফলভাবে মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠিয়েছে।

পুরোপুরি দেশি প্রযুক্তির মহাকাশযানটি তৈরিতে সময় লেগেছে ১৫ মাস। খরচও পড়েছে অত্যন্ত কম। এই অভিযানের মোট খরচ ৪৫০ কোটি রুপি।
ছয় মাস ধরে মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে সংগ্রহ করা তথ্য ভূমিতে স্থাপিত কেন্দ্রে পাঠাবে মঙ্গলযান।

-- Prothombarta Desk

জিয়াউর রহমানকে চতুর্থ মীরজাফর’ বললেন তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘হয় আমরা থাকব নয়ত খালেদা ও রাজাকাররা থাকবে। এখানে মাঝামাঝি থাকার কোনো পথ নাই। তবে খালেদাকে থাকতে হলে যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদ-রাজাকারদের ছেড়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে। নয়ত মীরজাফরদের সঙ্গে তারও (খালেদার) কবর হবে।’




মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব হলরুমে ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতি আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ‘এ শোক বহিবার নহে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
‘সাবেক রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোস্তাককে তৃতীয় ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে চতুর্থ মীরজাফর’ আখ্যা দিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘তাদের উত্তরসূরি হলেন খালেদা। তিনিও তাদের মতো ইতিহাস ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। মোস্তাকরা ইতিহাস ধামাচাপা দিতে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। আর ইতিহাসের মীরজাফর উত্তরসূরি খালেদা ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।’



 হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘হাতির পিঠে পিঁপড়া আত্মকথা লিখতে পারে কিন্তু ইতিহাস লিখতে পারে না। বঙ্গবন্ধু হলো হাতির সমান। তাকে বাদ দিয়ে ইতিহাস হয় না। মিথ্যার চাদরে বাংলাদেশকে ঢেকে রাখলে গণতন্ত্র হোঁচট খাবে। কিন্তু জনগণ সত্য ইতিহাস চর্চা করেন। তারা জানেন সঠিক ইতিহাস। তাই ইতিহাস বিকৃতিকারীদের সঙ্গে তারা নেই।’
শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে এক পাল্লায় মাপবেন না। কারণ শেখ হাসিনা রাজাকারকে রাজাকার বলেন আর খালেদা রাজাকারকে ফেরেস্তা বলেন।’
‘খালেদা রাজনীতিতে আসতে পাকিস্তানের মতো মানুষ মেরে ফেলার অপকৌশল গ্রহণ করেছে’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, ‘তার অপকৌশল দেশের মানুষই প্রতিহত করবে।’
সভায় ঢাকাস্থ গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সেলিম ওমরাও খানের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- সাবেক ডিইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সংগঠনের সদস্য শাবান মাহমুদ প্রমুখ।

গ্রেফতারে ভয় পাই না : খালেদা জিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনসমুদ্রে খালেদা জিয়া : নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখুন পালাবার পথ পাবেন না; জামায়াত বিএনপির সাথে আছে বলে জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী; বেঈমান-মোনাফেকের সাথে ২০ দল যাবে না


মামলায় সাজা দিয়ে সরকার গ্রেফতার করতে পারে এরকম আশঙ্কা প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন  বিএনপি  চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। 
গতকাল বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল জনসভায় এই হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই গ্রেফতারে ভয় পাই না। আমি সরকারকে বলব, আমাকে বন্দী করার আগে নিজের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখুন। নিজেদের পাসপোর্টে ভিসা লাগিয়ে রাখুন। নইলে আলেম-উলামাসহ জনগণ এমনভাবে রাস্তায় সমবেত হবে, আপনারা পালানোর পথ পাবেন না।

 একই সাথে আবারো সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিচারপতিদের হাত-পা বেঁধে রাখতে ষোড়শ সংশোধনী পাস করা হয়েছে। এটা বাতিল করতে হবে। নইলে এই বাতিলের দাবিতে আমরা একদিন হরতাল দিয়েছি। এটাই শেষ নয়। প্রয়োজনে যেকোনো কর্মসূচি দিতে আমরা প্রস্তুত থাকব। ২০ দলীয় জোট ভাঙার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এই জোট আরো শক্তিশালী হবে। মুনাফেক ও বেঈমানদের সাথে কেউ যাবে না। অবিলম্বে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, না হলে হরতালসহ আরো যেকোনো কর্মসূচি দেয়া হবে। জামায়াত বিএনপির সাথে থাকায় তাদেরকে জঙ্গি ও স্বাধীনতাবিরোধী বানানো হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। ঈদের পর সব আন্দোলন কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে মাঠে নামতে সবার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি চেয়ারপারসন। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন এবং ষোড়শ সংশোধন, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, গুম-খুন-হত্যা বন্ধের দাবিতে এই জনসভা হয়। ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর ঢাকার বাইরে খালেদা জিয়ার এটি তৃতীয় জনসভা। সর্বশেষ গত ২৮ মে মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়া জনসভা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর, সরাইল, আশুগঞ্জ, আখাউড়া, নবীনগর, নাসিরনগর, বিজয়নগর, কসবা, বাঞ্ছরামপুরÑ এই ৯টি উপজেলা থেকে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে জনসভাটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকেও নেতাকর্মীরা এই জনসভায় যোগ দেন। তাদের অনেকের হাতে ধানের শীষ প্রতীক, জিয়াউর রহমান, তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার বড় বড় প্রতিকৃতি ছিল। অনেক মিছিলে ব্যান্ড দলের উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উৎসাহ জোগায়।

 নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ বেলা ৩টার মধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেলেও নেতাকর্মীরা কাউতলী, মেড্ডা, কাজীপাড়া, মধ্যপাড়া, বাদুবর, দোকনীঘাট, টিইরু, হালদারপাড়া প্রভৃতি সড়কে অবস্থান নেন। জনসভা উপলক্ষে শতাধিক মাইক স্থাপন করা হয়। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তাব্যবস্থাও ছিল ব্যাপক।
 বেলা ৩টায় কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে জনসভার কার্যক্রম শুরু হয়। বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রধান অতিথি খালেদা জিয়া মঞ্চে এসে পৌঁছলে তুমুল করতালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান নেতাকর্মীরা। 
এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রবেশপথ আশুগঞ্জ ব্রিজের কাছ থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে করতালি দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নেতাকর্মীদের পদচারণায় সবার মুখে ছিল একটাই সেøাগানÑ ‘খালেদা জিয়া এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে।’ চারপাশে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতিকৃতি সংবলিত ডিজিটাল ব্যানার টাঙানো হয়। ছিল ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মরহুম মুফতি ফজলুল হক আমিনীর আলোকচিত্র।
বিএনপি চেয়ারপারসন তার ৪৫ মিনিটের ভাষণে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ২০ দলীয় জোট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সরকারের অপশাসন, দুর্নীতিসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
বর্তমান ‘অবৈধ-খুনি-জালেম’ সরকারকে হটাতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ঈদের পর যে আহ্বান জানানো হবে, আপনারা তাতে সাড়া দেবেন। আমি স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, আমি যেখানেই থাকি, আমার দলে আছে, সবাই একসাথে আন্দোলনের জন্য কাজ করে যাবে।


খালেদা জিয়া বলেন, দেশে কোনো সরকার নেই। এখন যারা ক্ষমতায় আছে, তারা একটি অবৈধ সরকার। জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। তারা (আওয়ামী লীগ) বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে একের পর এক আইন করছে। তারা দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সংসদে পাস হওয়া কোনো আইনের বৈধতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়ার সরকারের ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘শেখ হাসিনাÑ আমি গ্রেফতারে ভয় পাই না। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনও আমাকে দেশ থেকে বের করে দিতে চেয়েছিল; কিন্তু তারা পারেনি। ওই সময়ে শেখ হাসিনা দেশের বাইরে চলে গিয়েছিল। এখন তিনি (শেখ হাসিনা) বড় বড় কথা বলেন। তাই সরকার প্রধানকে বলব, আমাকে জেলখানায় যাওয়ার কিংবা মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়ার ভয় দেখাবেন না।
জামায়াতে ইসলামী প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির সাথে আছে তাই জামায়াত ইসলামীকে খারাপ বলছে। এখন তাদের নানা অপবাদ দেয়া হচ্ছে। তাদের কখনো জঙ্গি বানানো হচ্ছে কখনো বলা হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী। এই জামায়াতে ইসলামী এক সময় আওয়ামী লীগের সাথে ছিল। তখন তারা ছিল তাদের বন্ধু। জামায়াত ছিল তখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।
জোটের ভাঙন নিয়ে সাম্প্রতিক প্রচারণার জবাবে জোটনেত্রী বলেন, বিএনপি জোট ভাঙবে না। এই জোট শক্তিশালী আছে, থাকবে। যারা দেশপ্রেমিক তারা বেঈমান, মুনাফেক ও দালালদের সাথে যেতে পারে না। দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষায় ২০ দলীয় জোট আগামীতে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  
শেখ হাসিনাকে ছাড়া আওয়ামী লীগের সব নেতাকে টাকা দিয়ে কেনা যায় প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসিনা তো বহু আগেই বিক্রি হয়েছেন। ’৮৬ সালে এরশাদের সাথে আঁতাত করে তিনি টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছেন। ওই নির্বাচনে না যাওয়ার জন্য আমরা সবাই চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনে গিয়ে জাতীয় বেঈমান খেতাব পেয়েছেন।
খুন-গুমের জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর আবারো বিলুপ্ত দাবি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘র‌্যাব পচে গেছে। তাদের গ্যাঙ্গগ্রিন হয়েছে। এদের ফেলে দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জের ৭ খুনসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের দায়ে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসানের গ্রেফতার ও বিচার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘র‌্যাবের কর্নেল জিয়ার এখনো কিভাবে চাকরি থাকে। তাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সব কিছু বেরিয়ে যাবে। এই ভয়ে তাকে সরকার গ্রেফতার করছে না।
পুলিশের সাথে বিএনপির কোনো বিরোধ নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে বলব, আপনারা সবার সাথে নিরপেক্ষ ব্যবহার করুন। ছাত্রলীগ-যুবলীগকে পাহারা দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের নয়। আমি বলব, আপনারা আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিংয়ের ওপর গুলিবর্ষণ করবেন না।
গুম-খুনের বিরুদ্ধে জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি বলতে চাই, দেশে যেভাবে গুম-খুন হচ্ছে, এর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা প্রস্তুত আছি। জনগণকেও প্রস্তুতি নিতে হবে। তিনি দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, কর্মসংস্থানের অভাব, বিনিয়োগ হ্রাস প্রভৃতি বিষয়ে সরকারের চরম ব্যর্থতা তুলে ধরেন।
বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের নামে সরকারের লুটপাটের কাহিনী তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে ২০০৯ সাল থেকে সরকার ১৭ হাজার কোটি টাকা ভুর্তকি দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়েনি। তারা প্রচার করে বেড়ায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এটা মিথ্যা তথ্য। এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ছয় হাজার মেগাওয়াট।’

বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এক দিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেড়েই চলেছে, অন্য দিকে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিদ্যুতের কথা বলে আশুগঞ্জ সার কারখানা বন্ধ রেখে বিদেশ থেকে সার আমদানির নামে কমিশন নেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
মসজিদ-মন্দির-গির্জার  সংস্কারের নামে বরাদ্দকৃত অর্থ লুটপাট করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, টেলিভিশনের সংবাদে দেখলাম, মসজিদ-মাদরাসা-মন্দির-গির্জার নামে যেসব অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা সরকারের লোকজন খেয়ে ফেলেছে। আলেম-এতিমদের টাকা তারা খেয়ে ফেলছে। যেখানেই টাকা সেখানেই তাদের হাত। টাকা দেখলে তারা লোভ সামলাতে পারে না।
তিনি বলেন,  ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অর্থ যাচ্ছে কোথায়? রাস্তাঘাটের কী বেহাল অবস্থা। ওদের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নাম হাঁটিহাঁটি খাই খাই। কারণ এই দলটি হলো যা পাই , তাই খাই। নদী-খাল-বিল যা ইচ্ছে দখল করে খাচ্ছে। 
আর্থিক খাতে এক লাখ ৯৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার পরিসংখ্যান তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, পুঁজিবাজার, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, হলমার্ক, ডেসটিনিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের অব্যবস্থাপনা ও দলীয়করণের বিষয়ে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন সে জন্য আমি অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ আওয়ামী লীগ কখনোই সত্য কথা বলে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছেÑ এই একটি সত্য কথা বলার  জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
দেশের দুরবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য আজ সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। কর্মসংস্থান কমে গেছে। দেশে বিনিয়োগ বন্ধ। গ্যাস পানি বিদ্যুতের কারণে কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অবৈধ সরকারের সময় কেউ এই দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না। 
জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দেশকে বালোবাসেন। আপানারা মুসলমান। এ দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি আপনাদের কর্তব্য রয়েছে। ছাত্র যুবক, মা বোন আলেম ওলামা সবায় আসুন এই জালেম মিথ্যাবাদী হত্যাকারী খুনি এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করি।  এদেশ আমাদের সবার, সব ধর্মের।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, তারা কথায় কথায় মিথ্যা কথা বলেন। কিন্তু আমরা ঈমানদার। সব সময় নামাজ পড়ি। আল্লাহকে ভয় করি। তাদের পরকালের কোনো ভয় নেই। এ জন্য তারা মিথ্যা কথা বলেন এবং মানুষ মারেন। দুনিয়াতে তাদের অবস্থা যাই হোক পরকালে তাদের যে কি হবে তা আল্লাহ ছাড়া কেউ  জানে না। দেশকে ফোকলা করে তারা সবাই চলে যাবে। কেউ দেশে থাকবে না।
ঈদের পর থেকে সব আন্দোলন কর্মসূচিতে সাড়া দিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান তিনি।
২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর অভিযানের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আলেম-উলামা-এতিমদের হাতে সে দিন জায়নামাজ, তসবিহ ও কুরআন শরীফ ছিল। তাদের হাতে কোনো অস্ত্র ছিল না। অথচ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে বহু আলেম-এতিমকে হত্যা করা হয়েছে। কুরআন শরীফ পোড়ানো হয়েছে। অনেক আলেম-এতিমের বডি সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে উল্লেখ করে জোটনেত্রী বলেন, ‘মাওলানা ফজলুল হক আমিনী দেশপ্রেমিক আলেম ছিলেন। তাকে দীর্ঘ দিন গৃহের বাইরে যেতে দেয়া হয়নি। তিনি মনোকষ্টে মারা গেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এদের হাতে সাধারণ জনগণ, বিডিআরের ৫৭ কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, আলেম-এতিমদের রক্ত। এরাই (আওয়ামী লীগ) আবার আপনাদের কাছে হিজাব পরে তসবিহ হাতে ভোট চাইতে আসবেন। তাদের ক্ষমা করবেন না।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং জেলা বিএনপির সদস্যসচিব জহিরুল হক খোকনের পরিচালনায় ওই জনসভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপি ঢাকা মহানগর সভাপতি মির্জা আব্বাস, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা অধ্যক্ষ মো: ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, জাগপার চেয়ারম্যান শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত আমিনী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অব: মেজর জেনারেল সৈয়দ মো: ইবরাহীম বীরপ্রতীক, এলডিপির কেন্দ্রীয় মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও শওকত মাহমুদ, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মুর্তাজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিজেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ সেলিম মাস্টার, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ গোলাম আকবর, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় আমির জুনায়েদ আল হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মো: শাহজাহান, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব, জমিয়তে ওলামায়ে কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকার, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, হাজী সিরাজুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন আহমেদ খান, স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান মন্জু, বিএনপি সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, বিএনপি নেতা মোমিনুল হক, মো: আজিম, শ্রমিক দলের হেবজুল বারী, সাবেক ভিপি আবু শামীম মো: আরিফ, জামায়াতে ইসলামী জেলা শাখার সেক্রেটারি কাজী ইয়াকুব আলী, পৌর শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক জুনায়েদ হাসান, জেলা বিএনপি নেতা দেওয়ান নাজমুল হুদা, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক বাহার চৌধুরী,  জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মুনির হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মাহমুদ, ছাত্রশিবির নেতা সোহরাবুর রহমান নিপু, ছাত্রদলের শেখ হাফিজুল্লাহসহ স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ। 
জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, সাবেক এমপি আব্দুল খালেক, সাবেক এমপি আলহাজ কাজী আনোয়ার হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানসহ ২০ দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। 
 খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানাতে পথে পথে নেতাকর্মীর ঢল
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যাওয়ার পথে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী অবস্থান নেন। দুপুর দেড়টায় ভুলতা এলাকা অতিক্রম করার সময় যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর সমর্থক হাজার হাজার নেতাকর্মী মহাসড়কে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে বেগম খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানান। এ ছাড়াও রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সভাপতি গোলাম ফারুক খোকন, তারাব পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল কবির, কাঞ্চন পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম খান, দেলোয়ার হোসেন, নাসিম, রজব আলী ফকির, গোলজার হোসেন, আব্দুল মজিদ ভুঁইয়া, কালাম, ছাত্রদল নেতা ভিপি তারিক, সালাহউদ্দিন দেওয়ান, রফিকুল ইসলাম, আলতাফ হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিব, আরিফ, রাজিব, জাকির, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা আনোয়ার সাদাত সায়েম, রুহুল আমিনের নেতৃত্বে পৃথক মিছিল নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের স্থানে স্থানে জড়ো হয়ে বেগম খালেদা জিয়া ও তার সফরসঙ্গীদের শুভেচ্ছা জানান। 
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, বি-বাড়িয়ায় সমাবেশে যাওয়ার পথে গতকাল বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বেলা ১টায় বেগম জিয়াকে বহনকারী গাড়িবহর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা দিয়ে শিমরাইল মোড় হয়ে কাঁচপুর এলাকা অতিক্রম করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল হোসেন, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাছান শরীফ, থানা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হেসেন ও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

১০ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী–সচিব সবাই দেশের বাইরে-- অর্ধেকের বেশি মন্ত্রী বিদেশে

মন্ত্রী ও সচিবদের একসঙ্গে বিদেশে যাওয়া বারণ। অথচ এ মুহূর্তে অন্তত ১০টি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিব দেশের বাইরে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-উপদেষ্টার সংখ্যা ৩৬। এঁদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন বিদেশ ভ্রমণে রয়েছেন। শীর্ষ ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে ওই সব মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে খোঁজ নিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সচিব জানান, অনেক সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠানও বিদেশে যাওয়ার খরচ দেয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রের টাকাই খরচ হয়। এই খরচ একেক দেশের জন্য একেক রকম।
২০১১ সালের ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রী-সচিবসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা জারি হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিবদের একত্রে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ইত্যাদির বার্ষিক সভা, দাতা গোষ্ঠীর সভা হলে অত্যন্ত সীমিত ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হতে পারে।


 যেসব মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবেরা একই সঙ্গে বিদেশে আছেন, তাঁদের অনেকের ক্ষেত্রে বিদেশ সফর অপরিহার্য ছিল না। বিদেশে অবস্থান করা মন্ত্রী-সচিবদের কেউ কেউ পর্যটন মেলা, চুক্তি সই, জাহাজ পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কাজে গেছেন। এগুলো অপরিহার্যতার সংজ্ঞায় পড়ে না।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান প্রথম আলোকে বলেন, সার্কুলার দিয়ে তো আর এটা ধরা যাবে না। কারণ, তাঁরা (মন্ত্রী-সচিব) বলবেন, এটা অপরিহার্য। তাঁর মতে, শাসনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে হলে কার্যকর কিছু একটা করতে হবে।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে গেছেন ১৮২ সফরসঙ্গী নিয়ে। সেখানে আরও দুজন যুক্ত হওয়ার কথা। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এটি সবচেয়ে বড় প্রতিনিধিদল। ১৮২ জনের মধ্যে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিব আছেন ১৮ জন। এ ছাড়া আরও অন্তত ১৭ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব এখন দেশের বাইরে। সচিব ও সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের ধরলে এই তালিকা দীর্ঘ হবে।
সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার মনে করেন, এটা সরকারের শৈথিল্য ছাড়া আর কিছু নয়। এর ফলে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে, মন্ত্রণালয়ের সামগ্রিক কাজের গতি নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, এ ধরনের ভ্রমণের ক্ষেত্রে অনেকের লক্ষ্য থাকে বেড়ানো।

.১০ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী-সচিবশূন্য: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী আছেন যুক্তরাষ্ট্রে। তাঁর মন্ত্রণালয়ের সচিব ফায়জুর রহমান চৌধুরী গেছেন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন আছেন জাপানে, সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরীও তাঁর সঙ্গে। ২৬ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরে তাঁরা দুজনই ২৮ সেপ্টেম্বর হজের জন্য সৌদি আরবে যাবেন। ফিরবেন মধ্য অক্টোবরের দিকে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সরকারি সফরে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। সঙ্গী তাঁর মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নিয়াজউদ্দিন মিঞা। পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন ও সচিব মো. নজিবুর রহমানও যুক্তরাষ্ট্র সফরে আছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও সচিব মো. শহীদুল হকও যুক্তরাষ্ট্রে। মন্ত্রী দেশে থাকলেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ মালয়েশিয়া এবং সচিব শেলীনা আফরোজা জেনেভা ও লন্ডনে গেছেন।
ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান আজ বুধবার এবং মন্ত্রী মতিউর রহমান পরশু শুক্রবার সৌদি আরবে যাবেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ দিল্লি যাচ্ছেন। একই মন্ত্রণালয়ের সচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস গতকাল দিল্লি গেছেন বলে জানিয়েছেন ওই মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা।
পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চীনে আছেন, প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আছেন নেদারল্যান্ডসে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দীর্ঘ সময় বিদেশে থেকে গত সোমবার দেশে ফিরেছেন। এ মন্ত্রণালয়ের সচিব মনজুর হোসেন জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন।
এ ছাড়া শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিদেশ সফরে আছেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আজকের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা। মন্ত্রী পদমর্যাদার দুই উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও মশিউর রহমানও যুক্তরাষ্ট্রে আছেন।


বিদেশে থাকা সচিব: এ মুহূর্তে বিদেশে অবস্থান করা মোট ১৬ জন সচিবের মধ্যে মন্ত্রীর সঙ্গে বা আলাদাভাবে গেছেন ১০ সচিব। তাঁদের বাইরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও মুখ্য সচিব আবদুস সোবহান শিকদার। এ ছাড়া বস্ত্র ও পাটসচিব ফণীভূষণ চৌধুরী, নৌপরিবহনসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মিকাইল শিপার আছেন বিদেশে।

ঢাকা মেডিকেলে অস্ত্রসহ আটক ৩

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার রাতে তিনজনকে অস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।  আটক তিনজনের মধ্যে রাজু নামের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ঠিকাদার। বাকি দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

তাঁদের কাছে লাইসেন্স করা একটি পিস্তল ও একটি শটগান পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে হাসপাতালের কর্মচারী মনোয়ারা বেগমের ছেলে ইয়ার হোসেনের সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সম্পাদক বাবুর কথা কাটাকাটি হয়। রাত ৮টার দিকে ইয়ার হোসেনের পক্ষ হয়ে প্রায় ৩০ জনকে সঙ্গে নিয়ে বহির্বিভাগ চত্বরে জড়ো হন রাজু। এসময় বাবুকে তাঁরা বাবুকে খোঁজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে মেডিকেল কর্মচারীরা এলাকা ঘেরাও করে রাজুসহ তিনজনকে ধরে পুলিশের কাছে তুলে দেন। রাজুর কাছে একটি পিস্তল এবং অন্য একজনের কাছে একটি শটগান পাওয়া যায়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনজনকে শাহবাগ থানায় আনা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাবিল হোসেন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে কোনো কিছু নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কারণটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে অস্ত্র দুটি রাজুর লাইসেন্স করা।

ধর্ষণ নিয়ে মশকরা, বিতর্কিত টি-শার্ট অপসারণ

ফিলিপাইনে ধর্ষণ নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা করা বক্তব্য টি-শার্টে ছেপে তা বিক্রি করা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। যে শপিং মলে ওই টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছিল বিতর্কের মুখে মল কর্তৃপক্ষ তা সরিয়ে ফেলেছে।

আজ মঙ্গলবার এএফপির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো  হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় শপিং মল এসএম সুপার মলে সম্প্রতি একধরনের টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছিল। ওই টি-শার্টে লেখা ছিল, ‘ইটস নট রেপ, ইটস স্নাগল উইথ স্ট্রাগল (এটা ধর্ষণ নয়, এটা ধস্তাধস্তির সঙ্গে সোহাগের পরশ)।’

ফিলিপাইনের প্রখ্যাত কবি ও লেখক কারেন কুনাভিচ তাঁর ফেসবুক পেজে ওই টি-শার্টের ছবিসহ একটি বার্তা পোস্ট করেন। দ্রুত তাঁর এই স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এর পরই মল কর্তৃপক্ষ টি-শার্ট মার্কেটের শেলফ থেকে সরিয়ে ফেলে।
এক বিবৃতির মাধ্যমে এসএম সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষ সঠিক সময়ে তাদের এই ব্যাপারে জানানোর জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানায়। কর্তৃপক্ষ বলেছে, টি-শার্টে এমন বক্তব্য থাকা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। তাই যত দ্রুত সম্ভব টি- শার্টগুলো মার্কেট থেকে সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফিলিপাইনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হেনরি সাই এসএম সুপার মার্কেটের মতো সেখানকার আরও ৪৬টি মার্কেটের মালিক। তিনি চীনেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন।

হাসিনাকে কেনা যায়: খালেদা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কেনা যায়’। এরশাদের কাছে ‘বিক্রি হয়ে’ তিনি একবার নির্বাচনে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীও জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি।







সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে অনানুষ্ঠানিকভাবে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা ছাড়া সবাইকে কেনা যায়।
র‌্যাব বাতিলের দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, এই বাহিনী শুধু বিএনপির ৩১০ জনকে হত্যা ও ৫৬ জনকে গুম করেছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের কথা উল্লেখ করে সাবেক এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘এই হত্যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জড়িত, র‌্যাব জড়িত।’ তিনি র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তাকে জেলে নিয়ে বিচার করতে হবে। সে কীভাবে এখনো পদে থাকে। জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, কেননা তাকে জেরা করলে অনেক খুনের কথা বের হয়ে আসবে। সরকার এ জন্য তার বিরুদ্ধে হাত লাগাচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘র‌্যাব পচে গেছে, গ্যাংগ্রিন হয়ে গেছে। এটাকে ফেলে দিতে হবে। বাতিল করতে হবে।’
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়া এই জনসভায় ভাষণ দেন। ২৭ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে তিনি জামালপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন।


পালানোর পথ ঠিক করুন
খালেদা জিয়া বলেন, তিনি গ্রেপ্তারের ভয় পান না, জেলের ভয় পান না। সরকার যা-ই করুক তাঁর দল আছে, জনগণ আছে। তিনি শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তারের পর কী হবে তা চিন্তা¯করে রাখুন। আপনারা কীভাবে থাকবেন?’
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের এক বৈঠকে বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে। আর গতকাল সোমবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশে করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তারের আগে আপনারা নিজেদের পথ পরিষ্কার করে রাখেন। পাসপোর্টে ভিসাসহ যা যা লাগে নিয়ে রাখেন। তা না হলে পালানোর পথ পাবেন না।’ তিনি বলেন, এখনই পথ পরিষ্কার করতে না পারলে দেশের জনগণ, আলেম-ওলামারা পথ আট আটকে দেবেন। তখন আর পালানোর পথ পাবেন না।


সরকারকে খুন-গুমের জন্য জেলে যেতে হবে
আজকের সমাবেশে খালেদা জিয়া সরকারকে পাল্টা হুমকি দিয়ে বলেন, ‘এই সরকারের খুন, গুম ও দুর্নীতির সমস্ত তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে আছে। এগুলো প্রকাশ হলে তাদের কী হবে, তাদেরও জেলে যেতে হবে। শাস্তি পেতে হবে। হাসিনাও বহু অপরাধ করেছে।’ তিনি সরকারকে পরবর্তীকালে কী হবে সেই ‘চিন্তা করে রাখতে’ বলেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী ওই ঘটনার কয়েক দিন আগেই সুধাসদন থেকে মিন্টো রোডে যমুনায় ওঠেন। আবার সেখান থেকে চলে যান গণভবনে। মাঝে অল্প সময়ের জন্য যমুনায় ওঠা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী কিছু জানতেন।
সাবেক এই বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, ‘গুম-খুন কি চলতেই থাকবে? সরকার কি অপকর্ম করতেই থাকবে?’ তিনি এর বিরুদ্ধে জনগণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঈদের পর যে কর্মসূচি দেওয়া তা পালনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে দেখিয়ে দিতে চাই জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।’


বিচারপতিদের ভয় দেখিয়ে রায় নেবে সরকার
বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে নেওয়া-সংক্রান্ত সংশোধনী বাতিলেরও দাবি জানান খালেদা। তিনি বলেন, ‘বিচারপতিদের ভয় দেখিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরাদের বিরুদ্ধে মামলার রায় নিজেদের মতো করে নিতে এই সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এমনিতেই বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীন না। আর এখন তারা যেভাবে চাইবে, সেভাবে রায় দিতে হবে। নয়তো বিচারপতিদের অপসারণ করা হবে।’ তিনি বলেন, এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে এক দিন হরতাল দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন এক দিন হরতাল নয়, আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।


খালেদার জনসভার কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ
জনসভার কারণে নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ে আজ শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাহেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, মাইকের শব্দের কারণে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
বেলা তিনটায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুরের মধ্যে জনসভাস্থল জোটের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এরপর মাঠের সামনের সড়ক, পাশের রেললাইন ও আশপাশের ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে মানুষ খালেদা জিয়ার বক্তব্য শোনেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে শহরের প্রতিটি প্রবেশপথে তোরণ নির্মাণ করা হয়। শহরের পাশে খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত পোস্টার, ব্যানার টাঙানো হয়। অবশ্য ব্যানারে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের ছবিও ছিল। জনসভার কারণে দুপুর ১২টা থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সরাইল বিশ্বরোড মোড় থেকে শহরের কাউতলী মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃস্টি হয়।
খালেদা জিয়া দুপুর ১২টার দিকে গুলশানে তাঁর বাসভবন থেকে জনসভায় যোগদানের উদ্দেশে রওনা হন। তাঁকে স্বাগত জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ, নরসিংদীর বেলাব, সদর, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা সড়কের পাশে অবস্থান করেন। খালেদা তাঁদের উদ্দেশে হাত নাড়ান। জনসভায় বক্তব্য দিয়ে রাতেই খালেদা জিয়া ঢাকায় নিজ বাসায় পৌঁছান।
জনসভায় সভাপতিত্বে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম। জনসভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সভাপতি আন্দালিব রহমান, খেলাফত মজলিসের সভাপতি মো. ইসহাক, ইসলামী ঐক্যজোটের সভাপতি আবদুল লতিফ নেজামী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাসসহ ২০-দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

১২ বছর বয়সে ‘ভার্জিনিটি’ হারিয়েছি : রণবীর সিং

বিনোদন ডেস্ক : কোনো জিনিস নিয়েই লুকোচুরি পছন্দ করেন না অভিনেতা রণবীর সিং। সে পেশাগত জীবন হোক বা ব্যক্তিগত। এমনকী নিজের যৌন জীবন সম্পর্কেও বেশ খুল্লমখুল্লা তিনি। সম্প্রতি ফিল্মিবিটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জীবনের প্রথম যৌন মিলনের অভিজ্ঞতাও জানালেন নিঃসঙ্কোচেই।
রণবীরকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কত বছর বয়সে নিজের কুমারত্ব হারিয়েছেন তিনি, তখন রণবীরের জবাব, আমার যখন ১২ বছর বয়স, তখনই ‘ভার্জিনিটি’ খুইয়েছিলাম। আমি তখন স্কুলে পড়ি। আমার বন্ধুরাও তখন সবে মাত্র ১২ বছরের। 



ভালোবাসা, কাম বা অন্য এমন কিছুর জন্য আমি তখন যৌন মিলন করিনি। শুধু কৌতূহলবশত করেছিললাম।’

যে মেয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন রণবীর সে তার সহপাঠী ছিল না। বরং রণবীরের থেকে নাকি বয়সে বড় ছিল। এরপর হাসতে হাসতে রণবীরের জবাব, ‘সেই অভিজ্ঞতার পর থেকেই বন্ধুমহলে সেক্সগুরু হয়ে গিয়েছিলাম। বন্ধুদের রীতিমতো প্রশিক্ষণ দিতাম। আমি গিয়ে শেষ বেঞ্চে বসতাম। আর আমাকে ঘিরে সবাই ভিড় করত।’
রণবীরের কথায়, তার বন্ধুদের মায়েরা তাকে একদম পছন্দ করতেন না। বলতেন পঁচা আপেল। তারা ভাবতেন আমি তাদের ছেলে-মেয়েদের খারাপ করে দিচ্ছি। আমার লোকের এমনই ধারণা ছিল। অনস্ক্রিনে যে প্লেবয় চরিত্রে অসাধরণ রণবীর তা বলার অপেক্ষা রাখে না, কিন্তু বাস্তব জীবনেও যে রণবীর এই বিদ্যার মাস্টারমশাই তা কে জানত।

মুশফিক-মন্ডির গায়েহলুদ বুধবার

স্পোর্টস ডেস্ক : কোটি তরুণীর হৃদয় ভেঙে গত বছরের অক্টোবরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শ্যালিকাকে আংটি পরিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মন্ডি, প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনা করছেন।
বুধবার মুশফিক-মন্ডির গায়েহলুদ সন্ধ্যা। রাজধানীর বিমানবাহিনীর ফ্যালকন কনভেনশন সেন্টারে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সংলগ্ন) গায়েহলুদের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ।





আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে কাজ করেছি। এখন দুপুরের খাবার খাচ্ছি। খুব ব্যস্ত। ছেলের বিয়ের আয়োজন করছি। আত্মীয়স্বজন সবাই একে একে আসা শুরু করেছে। পুরো বাড়িতে বেশ মজা হচ্ছে।’
বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে টাইগার দলপতির বাবা আরো বলেন, ‘বুধবার গায়েহলুদ হবে। পরদিন বিয়ে। ছেলের বউকে ঘরে তুলব। বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে বিয়ে হবে। একদিন পর ২৭ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।’
বুধবারের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় দলের সব ক্রিকেটাররাই।

৮শ কোটি টাকা ক্ষতি, খোকা সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের

ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ক্ষতি সাধন করায় সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযুক্ত অপর তিনজন হলেন- ঢাকা সিটি করপোরেশনের (অঞ্চল-১০) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনসুর আহামেদ, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অঞ্চল-৮) আমিনুর রহমান চৌধুরী।

এর আগে ডিসিসির নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে খোকার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক। গত ডিসেম্বরে ঢাকা সিটি করপোরেশন ভাগ করা হলে মেয়রের পদ হারান সাদেক হোসেন খোকা।
মঙ্গলবার দুপুরে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৩৭ দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকায় নির্মাণাধীন বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের কারপার্কিং সঠিকভাবে চুক্তি সম্পাদন হয়নি। এতে ৫ শতাংশ মালিকানা থেকে বঞ্চিত হয় সিটি করপোরেশন। এ অভিযোগেই সাদেক হোসেন খোকা ও তিন প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রণব কুমার আরো জানান, ঠিকাদারী কর্তৃপক্ষের রিট আইনগতভাবে নিষ্পত্তি না করে মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সালেনামামূলে নিষ্পত্তির মামলায় সালেনামামূলে অনুযায়ী ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন না করে নির্ধারিত তারিখের ১২ দিন পর চুক্তি সম্পাদন করা হয়। এতে মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিটি করপোরেশন ৩০ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশ মালিকানা পায়।


দুদক কমিশনার শাহবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, ‘যদি ডিসিসি নিজেই এ ভবন নির্মাণ করতো তাহলে তারা অনেক লাভভান হতো। কিন্তু তা না করে আরএম ট্রেডিং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভবনটি নির্মাণ করেছে। এতে ডিসিসির প্রায় ৮শ কোটি টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে। কারণেই এই চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’ দুদক তিন বছর ধরে এ তদন্ত করে আসছিল বলে তিনি জানান।


২০১২ সালের ২৯ মার্চ শাহবাগ থানায় দুদক মামলা দায়ের করে। মামলা নম্বর ৪১। এটির তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলা বিচারাধীন।

ওই মামলার বিরণীতে বলা হয়েছে, সাদেক হোসেন খোকা, বনানীর ঢাকা সিটি করপোরেশনের সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল বাতেন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও পার্কিং স্থানের ব্যবস্থাপক এ এইচ এম তারেক পরস্পর যোগসাজশে মোট টাকা ৩৭ লাখ ১৯ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিসিসির বনানী সুপার মার্কেট কাম হাউজিং কমপ্লেক্সের বেজমেন্টের কার পার্কিং ইজারার ১১ লাখ ৫ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করেছেন। বেজমেন্টে কার পার্কিংয়ের ভাড়া বাবদ ওয়ারিদ টেলিকম ইন্টারন্যাশনালের (বর্তমানে এয়ারটেল) কাছ থেকে ২৬ লাখ ১৪ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।